মানুষের লোভ-লালসা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিলো যে আর অন্য কিছুর দিকে তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপ ছিলো না। নিজেদের কামনা বাসনা চরিতার্থ করবার অভিপ্রায়ে গ্রামটির সমস্ত কাষ্ঠল জাতীয় গাছগুলি তারা কেটে ফেলেছিলো, একটি বৃদ্ধ বটগাছ ছাড়া।গাছটিতে কয়েকটি বয়স্ক পেঁচা থাকতো।পেঁচা ছাড়া ওই গ্রামে আর কোনো পাখি ছিলো না। বেশ ভালোই চলছিলো মানুষের জীবন যাত্রা তবুও।
হটাৎ গ্রামটিতে কিছু অপরিচিত মানুষের আনাগোনা শুরু হলো। কিছুদিন পর আবির্ভুত হলো একটি নতুন রোগের।গ্রামটির তুলনামূলক দুঃখী মানুষগুলো রাতারাতি হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।যে বা যারা বিষয়টি নিয়ে কানাকানি করছে তারাও গায়েব! অতি দ্রুত বিষয়টি মহামারীর আকার ধারণ করলো। রোগটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ নাক না গলালেও জ্যামিতিক হারে জনপদ শূন্য হতে লাগলো।আস্তে আস্তে সমস্ত গ্রামটি জনমানব শূন্য হয়ে পড়লো। বেঁচে রইলো শুধু মাত্র একজন বৃদ্ধা মহিলা।সে ছিলো অন্ধ,বোবা। বৃদ্ধার ছেলেরা তাকে একটি অন্ধ কুটিরে বন্দি করে রেখে ছিলো।সে কিন্তু এটা জানতো না।সে বুঝতেই পারলো না ক্রমান্বয়ে সমস্ত গ্রাম জনমানব শূন্য।সে এতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছিলো যে,গ্রামটি যেন আগের তুলনায় নিশ্চুপ হয়েগেছে,ঠিক তার মতো।
এখনও গ্রামটির উপরে সূর্যের আলো পড়ে।রাতে শোনা যাই ঝিঝি পোকার করুণ স্বর।বয়স্ক পেঁচাগুলি আগের মতোই গাছটিতে বসে।আর দুচোখ ভরে দেখতে থাকে দামিদামি আসবাব পত্র!
মো আলমাজ মন্ডল