মুহাম্মদ বশির উল্লাহ
ইসলাম পাশ্চাত্যে দ্রুত বর্ধনশীল। একটি বাস্তবতা। এ সম্পর্কে স্যার জর্জ বার্নার্ড শ (দ্য জেনুইন ইসলাম, ভলিউম-1, নং 8, সন 1936।) বলেন, মুহাম্মদের ধর্মের প্রতি আমি সবসময় সুউচ্চ ধারণা পোষণ করি কারণ, এর চমত্কার ্প্রাণবন্ততা। আমার কাছে মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম যেটা সদা পরিবর্তশীল জীবন যাত্রার সঙ্গে অঙ্গীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে, যা ্প্রত্যেক যুগেই মানুষের হৃদয়ে আবেদন রাখতে সক্ষম। আমি তার (মুহাম্মদ) সম্বন্ধে পড়াশোনা করেছি। চমত্কার একজন মানুষ এবং আমার মতে খ্রিস্টবিরোধী হওযা সত্ত্বেও তাকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, তার মতো ব্যক্তির কাছে যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো তবে এর সমস্যগুলো তিনি এমনভাবে সফলতার সঙ্গে সমাধান করতেন যা বহু ্প্রতীক্ষিত শান্তি ও সুখ আনয়ন করতো। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি, মুহাম্মাদের ধর্ম বিশ্বাস আগামী দিনের ইউরোপের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যা ইতোমধ্যে বর্তমান ইউরোপের গ্রহণযোগ্যতা পেতে আরম্ভ করছে। যদি কোনো ধর্মকে ইংল্যান্ড তথা সমগ্র ইউরোপকে শাসন করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে যে ধর্মটি পরবর্তী 100 বছর ধরে পারবে, তা হলো ইসলাম। ইতিহাস খুঁজে দেখা গেছে, আমেরিকায় 1900 সালে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল 10 হজার। 2015 সালে এসে দাঁড়ায় 30 লক্ষ বা তার চেয়ে বেশি। পৃথিবীতে গড়ে ্প্রতি বছর ্প্রায় 28,83,011 জন অমুসলিম ইসলাম ধর্মগ্রহণ করছে। তার মধ্যে অগণিত সংখ্যক মনীষী রয়েছেন যারা কোনো না কোনো ক্ষেত্রে বিখ্যাত বা সুপরিচিত। আবার এদের মধ্যে এমন ক্রীড়াবিদ আছেন, যারা ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে ধন্য হয়েছেন।
1. মোহাম্মদ আলি। 17 জানুয়ারী 1942 সালে লুইসভিলা, কেন্টাকিতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ক্যাসিয়াস রকেলাস ক্লে সিনিয়র। মোহাম্মদ আলি ছিলেন, তত্কালীন মার্কিন মুক্তিযোদ্ধা। 3 বারের ওযার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন এবং ওলিম্পিক লাইট হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজেতা। 1999 সালে তাকে বিবিসি শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করে। তিনি 1975 সালে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন এবং নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আলি নাম রাখেন। তার মতে এজন্য ভূমিকা রাখেন নেশন অফ মুসলিমের ্প্রধান ডব্লিউডি মুহাম্মদ।
2. মাইক টাইসন। জন্ম 30 জুন 1966, ব্রুকলিনে। একজন আমেরিকান। মাইক টাইসন বিশ্বের তত্কালীন হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। 6 মার্চ 1985 সালে টাইসনের অভিষেক হন। 1992 সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
3. কারিম আবদুল জব্বার। একজন আমেরিকান অবসর্প্রাপ্ত বাস্কেটবল প্লেয়ার, কোচ, অভিনেতা এবং লেখক। তিনিও ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় নেন।
4. আহমদ রুশদি। এমি পুরস্কার ্প্রাপ্ত ্প্রাক্তন আমেরিকান ফুটবলার।
5. অলিভিয়ে সেন্ট জাঁ পরবর্তী নাম তারিক আবদুল ওয়াহিদ। ফ্রান্সের ্প্রাক্তন বাস্কেটবল প্লেয়ার।
6. ইউসুফ ইউহানা। পাকিস্তানের ক্রিকেটার। খ্রিস্টান থেকে মুসলমান হন 2005 সালে। নিজের নতুন নাম রাখেন মুহাম্মদ ইউসুুফ।
7. রাশিদ ওয়ালেস। আমেরিকান বাস্কেটবল প্লেয়ার। জন্ম 1974 সালের 17 সেপ্টেম্বর। সংগঠক ও রাজনীতিবিদ।
8. ওয়েন পার্নেল। দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার। 23 সেপ্টেম্বর 2012 সালে চলে আসেন ইসলামের ছায়াতলে। ব্যক্তিগত গবেষণা ও ভাবনা থেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। 2012 সালের জানুয়ারী মাস থেকেই ইসলামের ্প্রতি এক ধরনের অনুরাগ জন্মেছিল তার। নতুন ধর্ম গ্রহণ করার পর পার্নেল তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন ওয়ালিদ। যার অর্থ ‘সদ্য ভূমিষ্ঠ পুত্র সন্তান’।
উল্লেখ্য, ভারতীয় ্প্রিমিয়াম লিগ টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ কোনো অ্যালকোহল স্পর্শ করেননি পার্নেল।
9. মার্ক উইলিয়াম কালাওয়ে বা আন্ডারটেকার। বিখ্যাত আমেরিকান রেস্টলারের নতুন নাম মহম্মদ ইসমাইল।