না ফেরার দেশে কথা সাহিত্যিক ওয়ালে মহম্মদ
যুব প্রত্যাশায় প্রকাশিত 'অপ্রত্যাশিত' উপন্যাসের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সকল পাঠকদের মনে
নিজস্ব প্রতিনিধি
কথাসাহিত্যিক ওয়ালে মহম্মদ আর আমাদের মধ্যে নেই। গত ২৬ ডিসেম্বর ৩ টা ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিছুদিন আগে মারনরোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরদিন জোহরের পর তাঁর পৈতৃক নিবাস দক্ষিন দিনাজপুর জেলার পুলিন্দা গ্রামে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রাম বাংলার আবহমান লৌকিক জীবনকাহিনী এবং বিশেষকরে উত্তরবঙ্গের জনজীবন, তাঁদের মুখের ভাষা ও যাপিত জীবনের চিত্রায়নে তিনি ছিলেন এক দক্ষ শিল্পী। মুখ্যত লিটল ম্যগাজিন ও সাময়িক পত্রে তিনি নিয়মিত গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। এবছরই ‘যুব প্রত্যাশা ঈদ সংখ্যা’ তার লেখা অপ্রত্যাশিত উপন্যাস পাঠকের মনে গভীর দাগ কেটেছিলো বলে অনেকেই জানিয়েছিলেন। কথা সাহিত্যিক ওয়ালে মহম্মদ ‘যুব প্রত্যাশা’-সহ দৈনিক পুবের কলম, সাপ্তাহিক নতুন গতি ও উদার আকাশ পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখেছেন।
তাঁর প্রয়াণের খবর শুনে বাড়িতে বহু গুণগ্রাহীর ভিড় জমে। মুসলিম সমাজ জীবনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশি সমাজের অন্দরমহলও অচেনা ছিল না তাঁর। রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণের কাহিনী, ইসলামি ইতিহাস, কারবালার কাহিনী প্রভৃতিতে তাঁর স্বচ্চন্দ বিচরণ ছিল। অনায়সেই তিনি এসব মিথ ও ইতিহাসকে নিজ সৃষ্টিতে জারিত করতেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত “বিষবংশ” তাঁর অন্যতম গল্পগ্রন্থ, সেইসাথে ‘প্রতিশোধ’, ‘প্রতীক্ষা’, ‘সেকাল-একাল’ প্রভৃতি উপন্যাসেরও রচনাকার তিনি।
সম্মাননা ও পুরস্কার
- উজাগড় সাহিত্য পত্রিকার বিশেষ সম্মাননা (২০০৯)
- বুলবুল পত্রিকার সদভাবনা পুরস্কার (২০০৯)
- রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (২০১১)
- আবদুল জব্বার স্মৃতি পুরস্কার (২০১২)