Artical

বিদ্বেষ তৈরীর কারখানা

702views

উমর ফারুক

সারা বিশ্বে মানুষ বিদ্বেষীর তোপ, ঘৃনা, কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছে গভীর রাতে। আজ মানুষ মরে যায়। মেরে ফেলা হয় রাগ, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে। বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব এখনো কেটে ওঠেনি  মানুষের। শুধু মারনাস্ত্র কে ব্যাবহার করে বিদ্বেষী দের জন্য। প্রাচীন বৈদিক যুগেও মানুষের এমন স্বভাবের কথা জানা যায়। তবে সেখানে মানুষের জাতিকেই চারটি বর্ণে বিভক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে শুদ্রদের উপর নির্যাতনের কথা এখনও ইতিহাস থেকে মুছে যায় নি। এদেরকে সর্বদা একঘরে করে রাখায় ছিল উঁচু, ধনি বিত্তবান মানুষের একমাত্র স্বভাব। কিন্তু আজকেও এমন বৈসম্য ও বিভেদের ধাঁচে সমাজ নতুনভাবে তৈরী হচ্ছে। মানব প্রেম শব্দটা তাদের মস্তিষ্কের অভিধান থেকে মুছে গেছে।  কিছু মানুষের দেহে মানুষ মেরে ফেলা যেন প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন মানুষ কে খুন করে অন্যদিকে প্রকৃতির পশুর প্রতি প্রেমও তোলিয়ে গেছে হিংসার প্লাবনে। এরপর জীব প্রজাতির মত নানান সৃস্ট জীবের জীবনের শেষ অবকাশ টুকুও লুপ্ত হয়ে যায়। মানুষের দয়া, মায়া, মমতা মানবিকতা যখন উচ্ছাস এর আবেগের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় পরিগণিত হতে থাকে। মারতেও দ্বীধা বোধ করে না! সবাই চাই বিশ্ব শান্তি শৃঙ্খল পরিবেশ  মনোনিবেশ করতে। একটু আশা, ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে। তবে সারা বছর ধরে যারা আমোদের সাগরে ডুব দিয়ে যায়, সারা শরীরও তটস্থ থাকে। নিথর শরীরটা আরো নতুনভাবে গড়ার স্বপ্ন দেখে। তাদেরকে কি বলবেন?

যে যায় বলুক আমার অন্তর থেকে তাদের চরম উদাস মনে হয় নি।

এমন মানুষ অসংলগ্ন সকল সৎ কাজকে ছুঁড়ে দেই নর্দমায়। আর প্রেম, স্নেহ, ভাতৃত্ব সে অন্য কথা। এটা না হয় বাদই দিলাম। তাদের আগে সনাক্তের বন্দবস্ত করার প্রয়োজন যারা নিরপরাধ মানুষকে খুন করে। যারা ভিন দেশ থেকে এসে বিদ্বেষীত ক্ষোভকে শান্ত করতে মানুষ মেরে সর্বশান্ত হতে চায়! এমন এক ভিন দেশী শেতাঙ্গর মত   কুলাংগার আরও আছে প্রতিটি দেশে অথবা দেশের বাইরে। তারা খুন করে ভিন দেশে আবার আশ্রয় নিতে পারে না। ক্রাইস্ট চার্চ একটি শান্তিপূর্ণ দেশের অধীনে। যেখানে আজও পর্যন্ত এমন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে বলে মনে হয় না। আমি খুব কান আওড়াই যখন যেখানে যা খবর আসবে আমার কর্ণে তা ভাসিয়ে রাখি। এমন ঘটনার সাথে আমার পরিচয় বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই। সেই মর্মান্তিক ঘটনার খুনের হিসেব করে আমি অন্ধ হয়ে যাচ্ছি। কেমন যেন মূমুর্শু, নিপীড়িতের কাঁপুনির ছাপ আমার ঘাড়ে এসে পরছে। খাইরুল ইজতেমাই প্রথম শুনালো এই খবর। এটা মুস্লিম বিদ্বেষী ছাড়া আর কিছু নই! না হলে প্রচলিত খবরের শিরোনামেও কেন জঙ্গি নাম টা নেই? যদিও এমন কর্ম একদল বন্দুকবাজের হাতে করা খুব দুঃসাধ্য ব্যাপার।

তারাও মানুষ, অন্তত একবার হাত কাঁপবে। বেশ কিছু খবরের শিরোনামে “বন্দুক বাজ” বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে সাধারণ বন্দুকবাজ কিভাবে এমন কাজ করবে? মোটেও না, এটা কি একটি খুন। এক এক করে ৫০ জন নিরীহ মানুষের জীবন শেষ। সেখানে একজনের কাছে নই! সারা বিশ্বেরই মোড় ঘুরে। টনক নড়ে ওঠে বিবেকবানদের। সাধারন মানুষের চোখে জলচ্ছবি ভেসে আসে। এত মানুষ খুন! এটা নিশ্চয়ই সন্ত্রাসীদের হস্তক্ষেপ। তা সাধারণ মানুষ  বুঝে যাচ্ছে আর কাগজওয়ালাদের এটা মানতে কি লজ্জাবোধ হচ্ছে?    বেন্টন টারান্ট নামক এক শেতাঙ্গ অস্ট্রেলিয়ান যুবক শুরু থেকেই এদের তাক্ করেছিলো। তার লক্ষছিল মুস্লিম ও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি।

এত বড় জোড়ালো প্রমাণ থাকা সত্বেও খবর সেটাকে   বন্দুকবাজ বলে কেন? এটা তো চরম উগ্রপন্থী ক্রোধান্বিত এক মানুষের কাজ। এটা জঙ্গি কুলাংগারের কাজ। এই হল দেশ, কাল, ধর্ম আর মানুষের পরিচয়। এমন বাক্যটি সবাই সমর্থন করে না। সবাই মুখ বুজে থাকে। শুধু আওয়াজ টুকু বের হয়না। হয়তো তাদের ও চোখে মুখে বিদ্বেষপূর্ণ ছাপের স্বরচিহ্ন ধরা পরে। আজ বিশ্বের শান্তির বাসায় আগুনের গোলায় ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভাজা হচ্ছে মানুষের বিবেক্কে। সবকিছুর জটলা বাধানো হীন সাম্প্রদায়িক শক্তি দিয়ে আপ্রাণ চেস্টা করছে কিভাবে বিদ্বেষ ছড়ানো যায়। তুলনা করা হয় ছায়ের সাথে আমার, ছায়ের সাথে তার, ছায়ের সারা মানুষের সারা দেশ বাসীর। ছড়াছড়ি শুরু হয়  হিংসের। প্লাবন বয়ে যায়  দূর বাঁধে ভেঙে, থেমে রাখা যায়না। যার চরম পর্যায়ে এসে শুরু করে হত্যা, খুন, আর কু-কর্ম। আগুন নিভিয়ে গেলেও তার ভষ্ম গাদায় এক খন্ড ফুনকি জ্বলে ওঠে । মানুষ তা আবার জালানোর চেস্টা করে। তা দিয়ে যদি বিদ্বেষ তৈরী হয়। যতদিন না এই বিশ্ব মানুষের বিদ্বেষ কমবে ততদিন এখানে শান্তি বিরাজ করবেনা।

ভালোবাসা, মমতায় মায়ের আঁচল কে কেমন দেখি!

সেটা লুকানো জাইগা হিসেবে তা যথেষ্ট নিরাপদ। আমার দেশের মাটি হল মা। এখানে বিধ্বংসী পরমাণুতে যদি খন্ড হয়ে যায় তবু আমরা বিদ্বেষী, উস্কানির খপ্পরে পড়ে যাবো না। নিশ্চয় আমি নিরাপত্তার সাথে জীবন যাপন করছি। এখানে মায়ের মমতায় মায়ের আঁচলকে শান্তির আলয় বানিয়ে রেখেছি। এমন কয়জন ভাবে? আপন মাকেই ভালোবাসতে শিখলমনা সে আবার কি করে মানুষকে ভালোবাসা দিতে পারবে? মা তো সর্বদা আমাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই ওঁত পেতে বসে আছে। তাহলে কোথায় জঙ্গি? কোথায় খুনি? সব একই রকম হয়ে যাবে। এমন ঘটনার আঁধার শুধু নিউজিল্যান্ড এ নই! সারা বিশ্ব ব্যাপী এক প্রভাব ফেলে রেখেছে। আমার দেহে স্পর্শ লাগে তার শোকের  হাওয়াতে। আমার গা মড়মড়ে হয়ে যায়, আমি ক্রমশ ভাগ্যলিপি থেকে অনেক দূরে সরে থাকলেও আমার উপর এমন জুলুম আগে থেকেই জানা ছিল।

সে সময় সাপেক্ষ নিজ সময় নিয়ে কৌটা পুঁজিছে। আফগানিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় আমার মনে প্রথম পর্বের জিজ্ঞাসা শুরু হয়েছিল। তারা কিভাবে এটা করতে পারে?  মাথায় একটা কথা এখনও ঘুরপাক

খাচ্ছে, ‘মানুষের চিন্তা, চেতনা, বিবেচনা করার শক্তি কি হারিয়ে গেছে?’ চারিদিকে কোন দিন না কোন একটা হামলা হতেই থাকছে। এমন চেতনার কি মূল্য?

যে চিন্তায় মানুষের মোড় ঘুরে মানুষ বিদ্বেষীর দিকে, মানুষ কাটার ঝোঁক এর দিকে। এমন ঘটনা শোনা যায় শহরের বাবুদের পাড়া থেকে যারা অনেক শিক্ষিত।

তারা অনেক সময় ধরে অধ্যায়ণ করে। তারা বইয়ের সাথেই বসবাস করে। অথচ মানুষের জীবন নিয়ে কত হত্যা খেলা খেলে। এদের আত্মার প্রশান্তি যদিও নাই। প্রশান্তিহীন মনের তাগিতে তাদের চালচলন সব কিছুই মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ ক্ষোভ, ক্রোধ, ঘৃণা, হিংসে সবমিলে মানুষ মারার চক্রান্তে জড়িয়ে পড়ে। ক্রাইস্ট চার্চে  এমনকি জেরুজালেমেও এমনটাই ঘটেছিলো। মানুষের ক্ষোভের সৎ ভাই ক্রমান্বয়ে নীরিহ দের প্রতি ঢেলে দেয়। তার কারণ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে মমতা, ভাত্রিত্ব, স্নেহ ও ভালোবাসা কে তারা পুর্বেই বিসর্জন দিয়েছে। সেখান থেকেই তৈরী হয় বিদ্বেষীপুর্ন মনোভাব।

Leave a Response